বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংসদের উপস্থিতিতে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

  •    
  • ২০ মে, ২০২১ ০১:২৯

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে সোনাতলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পী। সভা চলার সময় হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

বগুড়া সোনাতলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার রেলগেট এলাকায় বগুড়া-১ আসনের (সারিয়াকান্দিা ও সোনাতলা উপজেলা) সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান শিল্পীর উপস্থিতিতে মিনহাদুজ্জামান লীটন ও জাকির হোসেন পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

মিনহাদুজ্জামান লীটন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে জাকির হোসেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংঘর্ষ চলার সময় সাংসদ সাহাদারা মান্নান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সোনাতলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পী। সভা চলার সময় হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন বলেন, ‘উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিত থাকতে বলা হয়। ’

তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান শুরুর আগে শুনতে পাই ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন তার বাহিনী নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অবস্থান নিয়েছেন। আমি তাদের কাছে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে নিষেধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অফিসে বসে ফুটবল খেলা দেখছিলাম। এমন সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।’

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘আসলে কী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সেটি জানা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর