বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ২১:০৮

‘তখন আমি দ্রুত বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ছেলে গুরুতর অসুস্থ, তার পায়ুপথ ফুলে গেছে ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। পরে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে হুজুরের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানায়। তা ছাড়া অনৈতিক কাজের কথা কাউকে না বলার জন্য মায়ের কসম দিয়ে গুনাহ হওয়ার ভয় দেখান হুজুর।’

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের পর শিশুটির বাবা মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার মিজানুর রহমানের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার টেংবাজার এলাকায়।

ভুক্তভোগী শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেন।

শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, আমি হতদরিদ্র একজন মানুষ। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। মঙ্গলবার ঈদের ছুটির পর মাদ্রাসা থেকে হুজুর ফোন করলে আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। কিন্তু আজ সকালে আমি রিকশা নিয়ে বের হলে বাড়ি থেকে খবর আসে আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে এসেছে, তা ছাড়া সে অসুস্থ হয়ে গেছে।

‘তখন আমি দ্রুত বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ছেলে গুরুতর অসুস্থ, তার পায়ুপথ ফুলে গেছে ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। পরে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে হুজুরের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানায়। তা ছাড়া অনৈতিক কাজের কথা কাউকে না বলার জন্য মায়ের কসম দিয়ে গুনাহ হওয়ার ভয় দেখান হুজুর।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে বায়েজিদ থানাধীন বালিকার মোড় এলাকায় পাক পাঞ্জাতন হেফজ ও এতিমখানা নামের ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে আমার ছেলেকে ভর্তি করাই। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু সাত মাস আগে মাদ্রাসায় মিজানুর রহমান নামের একজন শিক্ষক আসার পর থেকে আমার ছেলে বাড়িতে আসলে আর মাদ্রাসায় ফিরতে চায় না। তবু আমি জোর করে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি।

‘রোজার আগে একবার বাড়িতে আনলেও একই ঘটনা ঘটে। সে বাড়ি থেকে আর কোনোভাবেই মাদ্রাসায় যেতে চায় না। আমাদের কিছু খুলে না বলায় আমরাও বিষয়টি বুঝতে পারিনি তখন। সবশেষে ঈদের পর হুজুর বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় আসার আগের দিন আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেয়ার জন্য ফোন করেন। এতে আমি তড়িঘড়ি করে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার নিয়ে তাকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম, ধর্ষিত হওয়ার জন্য নয়। আমি ওই হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) খাইরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শিশুটির বাবার অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে আটক করি। পরে শিশুটির বাবা বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করলে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখাই আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক শিশুটিকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছেন। আগামীকাল সকালে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর