বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রত্যাখ্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ মে, ২০২১ ২১:০৪

মুক্তিযুদ্ধে গোহাইলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের নাম বাদ দেয়ার আগে আমার মৃত্যু হলে, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা না হয়।’

মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের নাম রাখা হয়েছে মন্তব্য করে গোহাইলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার আলাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তালিকা সংশোধন করা না হলে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা তিনি গ্রহণ করবেন না।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন বলেন, ‘একাত্তরে শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস মুক্তিকামী বাঙালির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অনেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এমনকি যারা সে সময় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন তেমন রাজাকার, আলবদরদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় এসেছে।’

তিনি বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি যাদের নাম বাতিলের তালিকায় রেখে (খ ও গ) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) পাঠিয়েছে, তাদের নামও সারা দেশের সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ যাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করার সুপারিশ করেছে তাদের নাম এখনও গেজেটভুক্ত হয়নি।

‘ক’ তালিকা গেজেটভুক্ত এবং অমুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন আলাউদ্দিন আহমেদ।

তার অভিযোগ, ‘বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ও একেএম ফজলুর রহমানের নাম আলবদর তালিকায় ছিল। তাদেরসহ কয়েকজনের নাম জামুকার ওয়েবসাইটে আলবদরের তালিকায় প্রকাশ হয়েছে।

‘এ ছাড়া ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের মো. বজলুর রহমান ও চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের আবু দাউদ মোল্যা মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। এসব লোক মুক্তিযোদ্ধা সমন্বিত তালিকায় কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আলাউদ্দিন।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের নাম বাদ দেয়ার আগে আমার মৃত্যু হলে, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনেআরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, ডেপুটি কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আলিম মোল্যাসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর