বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান রাবির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১৯:২০

লিখিত বক্তব্যে অনতিবিলম্বে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগদানের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এডহক এ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৮ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ কর্মস্থলে যোগদান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত উচ্চ মানসহকারী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী জামাত-শিবির চক্রের হামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। অনেকের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ, তাই বেকার ও মানবেতর জীবন-যাপন করছিলাম।

রাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাত শতাধিক পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। আমরা ওইসব শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেই। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারেনি।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান স্যার গত ৫ মে ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২ (৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে শূন্য পদের বিপরীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ আমাদের ১৩৮ জনকে এডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত নিয়োগপত্রের আলোকে গত ৬ মে যোগদানও করেছি।

কিন্তু ওইদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং আমাদের নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত’ আখ্যায়িত করে। যদিও ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২(৫) ধারা মোতাবেক, এই নিয়োগকে অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই।

এরপরই দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আব্দুস সালামকে দিয়ে আমাদের যোগদানের চলমান প্রক্রিয়া গত ৮ মে স্থগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। আমাদের জানামতে, নিয়মিত উপাচার্যের দেয়া নিয়োগ দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য স্থগিত করতে পারেন না।

উদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত আমরা ও আমাদের পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি। তাই আমাদের নিয়োগের ওপর আরোপিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে অনতিবিলম্বে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগদানের সুব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়।

সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন ও রায়হান মাসুদ, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদীনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, এই নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটি এখনও প্রতিবেদন দেয়নি। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কী বলছে বা কী সুপারিশ করছে সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। তার আগে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই।

এ বিভাগের আরো খবর