ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরেv অটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ মে উপজেলার দাঁতমন্ডল এলাকার মো. জুনায়েদ খন্দকারের ছেলে হাবিবুর রহমান প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। উপজেলার নয়নপুর এলাকার আক্তার হেসেনের ছেলে আবুল কালাম ও একই এলাকার জিলু মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন রুহুল ঘোরাঘুরি করার জন্য হাবিবুর রহমানের অটোরিকসা ৪০০ টাকায় ভাড়া করেন।
ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে রাত ৯ টার দিকে ওই দুজন যাত্রী উপজেলার কুন্ডা বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে অটোচালক হাবিবুর রহমানকে হাত-পা বেঁধে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। এরপর তারা হাবিবুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তারা অটোরিকশাটি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার গিলাতলী এলাকার অহিদ আলী মংগলের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
পুলিশ গত ১১ মে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কুণ্ডা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে হাবিবুরের মরদেহ উদ্ধার করে। ১২ মে নাসিরনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হাবিবুরের বাবা একটা হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আবুল কালামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের স্থানের পাশে ধানি জমি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করা হয়।
আবুল কালামের তথ্যে অপর আসামি নুরুল আমিন রুহুলকে রাত ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ও রাত ৩টার দিকে মাধবপুর থেকে অহিদ আলী মংগলকে অটোরিকশাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, অটোরিকশাচালক হত্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা ছাড়া অটোচালকের চুরি হওয়া মোবাইল ফোন কেনার দায়ে মো. রাফি উদ্দিন মিশু ও মো. আনোয়ার হোসেন নামের আরো দুজনকে আটক করা হয়। উভয়কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।