নেত্রকোণায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সাতজনের মধ্যে খালিয়াজুরীতেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। দুইজন করে মারা গেছেন কেন্দুয়া ও মদনে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ, খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ও মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, মৃতদের মধ্যে তিনজন মাছ ধরতে গিয়ে, দুইজন জমিতে কাজ করার সময় ও মাঠে খেলার সময় বজ্রপাতে দুইজন প্রাণ হারান। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খালিয়াজুরীতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন জগন্নাথপুর গ্রামের ওয়াছেক মিয়া, বিপুল মিয়া ও বাতুয়াইল গ্রামের মনির হোসেন।
কেন্দুয়ায় মৃতরা হলেন বৈরাটি গ্রামের বায়েজিদ ও কুণ্ডলী গ্রামের ফজলু মিয়া। আর মদনে প্রাণ হারানোরা হলেন ফতেপুর গ্রামের আতাবুর ও শরিফ।
বজ্রপাতে আহত তিনজনও মদন উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন ফতেপুর গ্রামের রবিন, সুরমা আক্তার ও রোমান।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় জমিতে কাজ করছিলেন বায়েজিদ ও ফজলু। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।
খালিয়াজুরী ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেন, ঝড়-বৃষ্টির সময় পুটিয়ার খালে ওয়াছেক, বিপুল ও মনির মাছ ধরছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মাঠে খেলার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ফতেপুর গ্রামের আতাবুর ও শরিফের। এই গ্রামের আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
এ ছাড়া ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বজ্রপাতে আতিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন।
মৃত আতিকুল উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন খলিশাজান গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল।