বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্নীতি তুলে ধরাই কাল হয়েছে রোজিনার: ফখরুল  

  •    
  • ১৮ মে, ২০২১ ১৫:৪৩

‘প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদককে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। মামলা দিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। আমরা এই সব কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাই। সেই সঙ্গে রোজিনার দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের দুর্নীতি তুলে ধরার কারণেই রোজিনা ইসলামকে কারাগারে যেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘সরকারের দমন-পীড়নের কারণে অনেক সাংবাদিকই এখন সত্য লিখতে ভয় পান। অনেককে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাসভবনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদককে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। মামলা দিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। আমরা এইসব কর্মকাণ্ডের ধিক্কার জানাই। সেই সঙ্গে রোজিনার দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

রোজিনা ইসলাম সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, এই গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্রীয় কিছু গোপন নথি সরিয়েছেন; কিছু নথির ছবি তুলেছেন। এগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারত। নথিগুলো ছিল টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত।

অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট প্রণয়নকাজ চলছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। আর এই অবরুদ্ধকর অবস্থাকেই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বলে। অথচ গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আর এই মত প্রকাশের মেরুদণ্ড হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। মিডিয়াকর্মীদের যদি এভাবে হেনেস্তা করা হয় তাহলে কী করে দেশে গণতন্ত্র থাকল।’

সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়টি নতুন নয় জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এর আগ অনেক সংবাদকর্মী হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাদের দেশে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। কাউকে কারাগারে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদর থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ উপস্থিত ছিলেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর