ডুবে নয় শিশু আলী হোসেনের মৃত্যু কোদালের আঘাতে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ তথ্য পেয়েছেন।
গেল শনিবার ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াপাড়া (আসামপাড়া) গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে এই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের ছেলে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, জসিমের করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় শিশুর চাচা ফারুককে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দুর্ঘটনাবশত তার কোদালের আঘাতে আলীর মৃত্যু হয়। দায় এড়াতে মরদেহ তিনি ডোবায় ফেলে রাখেন।
জসিমের ২২ মাস বয়সী ছেলে আলী ১৩ মে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তাকে না পেয়ে পরদিন ঝিনাইহগাতী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা। নিখোঁজের দুই দিন পর গ্রামেরই একটি ডোবার কচুরিপানার নিচে পাওয়া যায় আলীর মরদেহ।
ওসি ফায়েজুর জানান, যে ডোবা থেকে আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেখানে বড়দের যাওয়াই অনেক কষ্টের। সন্দেহ হলে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খায়রুল কবীর সুমন বলেন, ‘আমরা মরদেহটি ফোলা অবস্থায় পাই। ময়নাতদন্তের সময় আমরা তার মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাই। আর এ আঘাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।’
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় ফারুককে। তিনি আলীর বাবা জসিমের ফুফাতো ভাই।
ওসি ফায়েজুর বলেন, শিশুর পরিবার মামলা করতে রাজি ছিল না। আঘাতে আলীর মৃত্যু হয়েছে জানার পরও পরিবার থেকে বলা হচ্ছিল যে, তাদের কোনো অভিযোগ নেই। পরে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে রোববার ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন জসিম।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক বলেন, ১৩ মে বাড়ির পাশে গাছ লাগানোর জন্য কোদাল দিয়ে গর্ত করছিলেন তিনি। হঠাৎ পেছন থেকে এসে দাঁড়ালে কোদালের আঘাত লাগে আলী মাথার পেছনে। তখনই তার মৃত্যু হয়।
ফারুকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলেও জানান ওসি। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।