বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জামাই আরও ডিমান চায় বাহে’

  •    
  • ১৭ মে, ২০২১ ২২:৫৯

বিয়ের সময় তোফেলার দরিদ্র বাবা মেয়ে জামাই সাইফুলকে যৌতুকের ২০/২৫ হাজার টাকা ছাড়াও খাট, শো-কেস, আলমারিসহ নানা রকমের ঘর সাজানোর আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। তবে সাইফুল পরে আরও যৌতুকের দাবি করেন।

যৌতুক না দেয়ায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মহাইল-শান্তিনগর গ্রামে তোফেলা বেগম নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার কালাই থানায় করা এক অভিযোগে বলা হয়, তোফেলার স্বামী সাইফুল ইসলাম ও শ্বশুর আলম মন্ডল তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন।

মেয়েকে নির্যাতনের খবর পেয়ে তোফেলার বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, সোমবার তোফেলার বাবা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালে মহাইল-শান্তিনগর গ্রামের আলম মন্ডলের ছেলে সাইফুলের সঙ্গে পাশের উদয়পুর বাসিলা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে তোফেলার বিয়ে হয়। তাদের একটি দেড় বছরের মেয়ে আছে। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই যৌতুকসহ নানা কারণে তোফেলাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুর।

মহাইল-শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ও ফেরদৌসি বেগম জানান, বিয়ের সময় তোফেলার দরিদ্র বাবা মেয়ে জামাই সাইফুলকে যৌতুকের ২০/২৫ হাজার টাকা ছাড়াও খাট, শো-কেস, আলমারিসহ নানা রকমের ঘর সাজানোর আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। তবে সাইফুল পরে আরও যৌতুকের দাবি করেন।

তোফেলার দিনমজুর বাবা মোফাজ্জল জানান, ‘বেটির বিয়ার সময় জাঁউক (জামাইকে) ডিমান (যৌতুক) দিছি। তারপরও মোর বেটিক খালি মারে। জামাই আরও ডিমান চায় বাহে।’

রোববার খবর পেয়ে গ্রামবাসীদের সহায়তায় তিনি সাইফুলের বাড়ি থেকে তার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন বলেও জানান তিনি।

তোফেলা অভিযোগ করেন, জামাই জুয়া খেলে আর শ্বশুর নেশা করেন। জুয়া আর নেশার জন্য আরও টাকা দরকার তাদের। ঈদের পর দিন শনিবার আরও যৌতুকের দাবি করলে তিনি বলেন যে তার বাবা আর দিতে পারবে না। এতে ক্ষেপে গিয়ে স্বামী ও শ্বশুর তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন।

তিনি বলেন ‘আমি মেঝেতে পড়ে গেলে সাইফুল জুতা পরা পায়ে আমার মুখে ও চোয়ালে লাথি মারে। শ্বশুর শাবল দিয়ে কোমরে ও পায়ে বাড়ি দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে হুঁস ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।’

এ নিয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সাইফুল ও তার বাবাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর