মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীর চাপ অনেক গুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৪০ বার খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হয়েছে।
যাত্রী পারাপারে অগ্রাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তব্যরত সব সংস্থা।
বিআইডব্লিউটিসিসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। এ সময় দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপও অব্যাহত ছিল।
দুই দিকের যাত্রী চাপ বাড়ায় ফেরিগুলো বেশি যাত্রী ও কম যানবাহন নিয়ে পার হয়। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে অন্তত ৪০ বার খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হয়।
ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি ঠেকাতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। বাংলাবাজার ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করা হয়।
এ দিনও প্রচণ্ড গরমে বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে, যাত্রীরা ফেরি থেকে নেমে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুনে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল। খালি ফেরি ঘাটে পৌছানো মাত্রই যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আবার শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। আমরা যাত্রীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করছি।’