পূর্বশত্রুতার জেরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের মোরারদিয়া গ্রামের পাঁচ বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোরারদিয়া গ্রামের মো. রইচ মোল্যা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রব মোল্যার পক্ষের মধ্যে ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ৮ বছর ধরে শত্রুতা চলে আসছে। এর জের ধরে রোববার বিকেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পাঁচজন আহত হন।
সোহান মোল্যা ও হাসান মোল্যা নামে গুরুতর আহত দুই যুবককে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অপর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা রইচ মোল্যা জানান, রব মোল্যার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় নানা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার, তার ভাই নাসির মোল্যা, আবির মোল্যা, রেজাউল মোল্যা ও টুটুল মোল্যার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি এ ব্যাপারে মধুখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অপরদিকে জাহাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রব মোল্যা লুটপাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, রইচ মোল্যারাই আগে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে সোহান ও হাসান গুরুতর জখম হয়েছে।
নিজেদের লোক আহত হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারা অপর পক্ষের বাড়িঘরে গিয়ে কিছুটা ভাঙচুর করেছে, তবে কেউ লুটপাট করেনি। রইচের আত্মীয়স্বজনরাই মালামাল সরিয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু বলেন, রব মোল্যা ও রইচ মোল্যার মধ্যে পূর্বশত্রুতার জেরে মারামারি হয়েছে। তিনি দুই পক্ষকে মামলা করতে নিষেধ করেছেন। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। এর আগের গোলমালও তিনি সমাধান করে দিয়েছিলেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যাদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তারা আগে প্রতিপক্ষের তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। পরে অপর পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা করেছে। এ সময় ওই পক্ষ পরিবারসহ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। তিনি নিজে এবং মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।