বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরদের বেধড়ক পিটুনি, পাঁচ মাতব্বর কারাগারে

  •    
  • ১৭ মে, ২০২১ ১৮:৪৭

হাতিয়া থানার ওসি মো.আবুল খায়ের জানান, রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোর শিশুপদ দাসের বাবা হরিপদ দাস ছয়জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার পাঁচ আসামিকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিন্দি জাল চুরির অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে বেধড়ক পেটানোর নির্দেশদাতা পাঁচ মাতব্বরকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মাতব্বররা হলেন- উপজেলার শুল্লকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল চন্দ্র জলদাস, বিধান চন্দ্র দাস, রায় মোহন জলদাস ও প্রিয় লাল জলদাস।

সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় হাতিয়া থানার ওসি মো.আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোর শিশুপদ দাসের বাবা হরিপদ দাস ছয়জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার পাঁচ আসামিকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার গ্রাম্য সালিশে কিশোর জেলেদের রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো-উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা সহদেব, কিরণ, শিশুপদ, সমূল্য ও রতন ।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়ে। পরে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে হাতিয়া থানা পুলিশ রোববার রাতে এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেপাড়ার নারী-পুরুষের সামনে পাঁচ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই সময় তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য ওই পাঁচ কিশোর এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা আহাজারি করে অনুরোধ করছেন। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।

চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহাম্মেদ জানান, কয়েক দিন আগে পাঁচ কিশোর মিলে এক জেলের একটি বিন্দি জাল চুরি করে পাশের সোনাদিয়া ইউনিয়নের অন্য এক জেলের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে ওই জাল উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে জেলে পাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি জলদাস, নেপাল চন্দ্র জলদাস, প্রিয় লাল জলদাস, বিধান চন্দ্র দাস, রায় মোহন জলদাসের নেতৃত্বে একটি সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে কিশোরদের একজনকে ১০টি বেত মারার আদেশ দেয়া হয় এবং প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে মাতব্বরদের নির্দেশে পাঁচ কিশোরকে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান চৌকিদার আমির হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর