সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক নারী। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও এক নারীকে।
গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের লাশ সৎকার করে আলোচনায় এসেছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ। এ ছাড়া তিনি মহানগর যুবদলেরও আহবায়ক।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী সাঈদা আক্তার রোববার রাতে ওই মামলাটি করেন। এতে খোরশেদ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ফেরদৌসি আক্তার রেহানা নামে আরেক নারীকে।
এর আগে সাঈদার বিরুদ্ধে হয়রানি ও জোর করে বিয়ে করতে চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন খোরশেদ।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলরকে বিয়ে করার হুমকি অতঃপর...
এজাহারে বলা হয়েছে, ছোটবেলা থেকে খোরশেদের সঙ্গে সাঈদার পরিচয়। এর আগে সাঈদার একটি বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। সেই ঘরে সন্তানও রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ ও সাঈদার ফেসবুকে মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, যোগাযোগের একপর্যায়ে খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের ২ আগস্ট সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে এসএস ফিলিং স্টেশনে খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পরে বিয়ের বিষয় জানাজানি হলে খোরশেদ সাঈদার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাঈদা ব্যবসার কাজে দুবাই গেলে ২৪ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলেন খোরশেদ। পরে ওই লাইভে ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামে এক নারীও বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এসব ঘটনা সাঈদা দুবাই থেকে জানতে পারেন। পরে স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে রাতে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ সেই নারীর
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘সাঈদা আক্তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাউন্সিলর খোরশেদ ও ফেরদৌস আক্তার রেহানাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার তদন্তসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’
মামলার বিষয়ে কাউন্সিলর খোরশেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার একান্ত সহকারী আলি টিপু জানান, খোরশেদ এখন ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। নারায়ণঞ্জে ফিরে এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাঈদা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।