বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুকে আটকে রেখে মারধর: গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ১৭ মে, ২০২১ ১৬:২৩

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মোবাইল চুরির অভিযোগে শিশুটির পায়ে দড়ি বেঁধে কয়েকজন যুবক নির্যাতন করছেন। শিশুটি তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করছে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় সোমবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোবাইল চোর সন্দেহে এক শিশুকে দুই দিন ধরে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন, উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের মো. বাবুল, মো. শাহীন ও মো. মান্নান।

ওই শিশুকে নির্যাতনের একটি ভিডিও এর আগে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই শিশুকে রোববার দুপুরে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাসানি গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর হাসপতালে ভর্তি করা হয়। শিশুর বাড়িও একই গ্রামে।

এ ঘটনায় রোববার তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাতজনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন ওই শিশুর নানি।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম জানান, শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের খবর পেয়ে পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে শিশুটির পায়ে দড়ি বেঁধে কয়েকজন যুবক তাকে নির্যাতন করছে। শিশুটি তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করছে।

নানি জানান, ওই শিশুর বাবা মারা গেছে আট বছর আগে। এরপর তার মা কাজের জন্য বিদেশে চলে যান। বোনের সঙ্গে নানাবাড়িতে থাকে সে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় নানার জন্য পাড়ার দোকান থেকে সিগারেট আনতে যায় সে। কিন্তু অনেকক্ষণ পরও না ফিরলে খোঁজাখুজি শুরু হয়। রাতে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রোববার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটিকে। পরে জানা যায় একই গ্রামের আলীম মিয়ার বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে তাকে।

নানি ও মামাসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তাকে ছেড়ে দিতে যুবকদের অনুরোধ করেন। তখন রুবেলসহ অন্যরা তাদের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের দাম হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

টাকা না পেয়ে যুবকরা শিশুর ওপর নির্যাতন অব্যাহত রাখেন। তারা কারও কথা শুনতে রাজি হননি। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পাশের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানি অভিযোগ করেন, তার নাতিকে রাতভর বিদ্যুতের শক দেয়া হয়েছে। তার পায়ে দড়ি বেঁধে পশুর মতো নির্যাতন করা হয়।

বাংলাদেশে চোর সন্দেহে নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই ১৩ বছর বয়সী শিশু রাজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নির্যাতনের সময় দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে নির্যাতনকারীরা। পরে সেই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ওই বছরের ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মাত্র ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর আদালত রায় দেয়।

রায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডসহ তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুজনকে এক বছর করে সাজার রায় বহাল রাখে উচ্চ আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর