কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রাম থেকে রোববার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ওই গৃহবধূর বাবা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
শোবার ঘর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় নুরুন হুজ্জাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে তার স্বামী আরিফুল ইসলাম পলাতক।
মামলায় বলা হয়, আরিফুলের সঙ্গে রমনা ইউনিয়নের শরীফের হাট এলাকার হুজ্জাতুনের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়।
শনিবার বিকেলে হুজ্জাতুন বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার আবদার করে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।
পরে ঘরের ভেতর ফ্যানে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় হুজ্জাতুনের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশিরা।
এ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে ৫ জনের নামে মামলা করেন ওই গৃহবধূর বাবা।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে চলছে অভিযান।
নুরুন-আরিফুল দম্পতির সংসারে নেহা নামে সাত মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে।