নাটোরে ব্যাংক প্রাঙ্গণ থেকে অভিনব পন্থায় চুরি হওয়া ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও মোবাইল কল ট্র্যাকিং করে শনি ও রোববার অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের দুই সদস্যকে টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের রাজিব হোসেন এবং খুলনার দক্ষিণ দিহী এলাকার কালাম শেখ।নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা জানান, ৯ মে দুপুরে জেলার বাগাতিপাড়ার সাইলকোনার পাট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক শহরের ইসলামী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তোলেন। তিনি টাকাগুলো একটি ব্যাগে ভরে ব্যাংকের নিচে নেমে মোটরসাইকেলের পেছনে ব্যাগটি বেঁধে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় চোরচক্রের সদস্য কালাম শেখ ব্যবসায়ী রাজ্জাকের মোটরসাইকেলের সামনে ছোটাছুটি করে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সুযোগে অপর সদস্য রাজিব মোটরসাইকেলের পেছন থেকে টাকার ব্যাগটি নিয়ে সটকে পড়েন। রাজ্জাক মোটরসাইকেলে কিছুদূর গিয়ে পেছনে ফিরে দেখেন টাকার ব্যাগটি নেই।
রাজ্জাক সেদিনই সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নামে।
তদন্তের একপর্যায়ে ব্যংকের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং মোবাইল কল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরচক্রকে শনাক্ত করেন পুলিশ সদস্যরা।
শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে নাটোরের দিঘাপতিয়া ঘোষপাড়া গ্রাম থেকে রাজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে চুরির ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহযোগিতায় দক্ষিণ দিহী এলাকা থেকে রোববার দুপুরে কালাম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে চুরির ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।পুলিশ সুপার আরও জানান, রাজিব ও কালাম ব্যাগ কেটে টাকা চুরি করে থাকেন। এবার তারা অভিনব পন্থায় ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেলের সামনে বাধা সৃষ্টি করে টাকা চুরি করেছেন।
তারা ঘণ্টাখানেক ওই ব্যবসায়ীর গতিবিধির ওপর নজর রেখেছিলেন। প্রযুক্তির কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যেই টাকাসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
এ চোরচক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে জানান এসপি লিটন কুমার সাহা।