ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারে রোববার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনে এ দাবিগুলো জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গত ৬ মে উপজেলার পবনপুর এলাকায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ১১ মে রাতে সাতজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১২ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন সেকেন্দার।
মামলা বলা হয়, ইরি মৌসুমে ধান মাড়াইয়ের জন্য মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় চাতাল তৈরি করেন সেকেন্দার। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আরব আলী খান এতে বাধা দেয় ও তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এরপর ৬ মে পবনবেগ কবরস্থান নতুন মসজিদের কাছে তিন রাস্তার মোড়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথার অপারেশন শেষে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি
এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান, গোপালপুর গ্রামের লাভলু সিকদার, আরব আলী খান (পিরু), নুর জালাল খান, নজরুল খান, কামরুল খান ও বাকাইল গ্রামের জীবন বিশ্বাস।
তাদের মধ্যে লাভলু সিকদার, নজরুল খান, কামরুল খান ও জীবন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম বলেন, ‘সেকেন্দারের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। কিন্তু যারা নিরপরাধ, নিরীহ ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে এই মামলায় আমরা বিস্মিত। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা বলেন, ‘সেকেন্দারকে বলব, কার ষড়যন্ত্রে, কার কথায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছ? এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করো। যারা তোমার ওপর সত্যি আক্রমণ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমরা তোমার পাশে আছি।
‘যদি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয়, অন্যায়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে আলফাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না। তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ও যারা জড়িত নয় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান তিনি।