যশোরের বেনাপোলে শ্বশুরবাড়ি থেকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনের।
পোর্ট থানা থেকে রোববার দুপুরে ১২টার দিকে রুমা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। এর আগে শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে আনা হয় থানায়।
রুমা খাতুন ওই গ্রামের আরিফুল ইসলাম টুটুলের স্ত্রী ও একই থানার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে। তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
রুমার চাচাত ভাই শামিম হোসেন বলেন, ‘যেখানে লাশ ঝুলছিল সেখানকার উচ্চতা ছিল মাত্র ৫ ফুট। রুমার পা মাটির খুব কাছাকাছি ছিল। আমাদের ধারণা, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের প্রভাবশালী মাদক কারবারি মোমিন মেম্বার ও তার ভাই আমাদের হুমকি দিয়েছে। যাতে আমরা কোনো মামলা না করি। তারা বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করবি না, বাড়ি চলে যা।’
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোমিন হোসেন বলেন, মেয়েটি কী কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলে আমি তা মিটিয়ে দিতাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে গৃহবধূর স্বামী আরিফুল ইসলাম টুটুল।