ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, ট্রাক, মিনিট্রাকে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, সোমবার থেকে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল মিল খুলছে। তাই কর্মস্থলে যেতেই হবে।
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ থেকে ব্রিজ মোড় পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট লেগেই আছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে শম্ভুগঞ্জ থেকে হেঁটে আসতে আসতে কথা হয় ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে।
সারোয়ার হোসেন নামে একজন জানান, তিনি ঢাকার সাভারে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করেন। সপরিবারে ফিরছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, কাল থেকে অফিস খোলা। যেভাবেই হোক বউ-বাচ্চা নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতেই হবে।
কথা হয় গাজীপুরের বোর্ডবাজারে রড মিস্ত্রির কাজ করা সজিব মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ফুলপুর থেকে অটোরিকশা দিয়ে শম্ভুগঞ্জ পর্যন্ত আসছি। এখন হেঁটে হেঁটে ব্রিজ পর্যন্ত যাব। পরে যেভাবে হোক গাজীপুরে যেতেই হবে। না হলে চাকরি থাকবে না।
মিনি পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে যাচ্ছেন একসঙ্গে ১২ জন। তাদের একজন সবুজ মিয়া বলেন, রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলা। তাই বাধ্য হয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে রওনা হয়েছি। সরকারি নির্দেশনা মেনে বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের হেলপার জলিল বলেন, আমরা গাড়ি নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত যাব। সবাই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছে। তাই আমরাও বের হয়েছি।
কথা হয় সৌখিন এক্সপ্রেসের চালক মামুন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, কাউন্টার বন্ধ তাই ব্রিজ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যাব।চলাচলের সময় কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
ময়মনসিংহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুব রহমান বলেন, ঢাকাগামী মানুষের চাপ বেড়েছে। তাই যানজট লেগেছে। পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।