মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন। পাশাপাশি বাড়ির সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এ কারণে বাবাকে হত্যার কথা জানিয়ে আদালতে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন এক যুবক।
তার নাম মো. সোহান। শনিবার যশোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গৌতম মল্লিক তার জবানবন্দি নেন। পরে মা-ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের বড় ভাই আবেদ আলী চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই দিন সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দুর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে ৪৪ বছর বয়সী আহাদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আহাদ আলী এক সময় ট্রাক চালাতেন। তাকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছেলেকে আটক করে পুলিশ।
আদালতে স্বীকারোক্তিতে সোহান জানান, তার বাবা ক্যানসার ছাড়াও নানা রোগে ভুগছিলেন। সবার সঙ্গে বদমেজাজে কথা বলতেন। তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন। এসব কারণে তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন।
বুধবার রাতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন গৃহকর্তা আহাদ। ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে বাবাকে আঘাত করেন সোহান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।
আঘাত করার পর ছুরিটি ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন সোহান।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়েরা যে ঘরে থাকে। তার পাশের ঘরে বুধবার রাতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন আহাদ আলী।
ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে ছেলে-মেয়েরা ডাক দেয়। সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা দেখে, আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং শরীর রক্তাক্ত। বাবার মরদেহ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সন্দেহ হয় হত্যায় পরিবারের লোকজন জড়িত। সন্দেহ থেকেই পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার, ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে তারা সব স্বীকার করলে জবানবন্দি দিতে আদালতে তোলা হয়।