ঈদের ছুটিতে হাওরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এসে প্রাণ হারালেন এক যুবক।
ওই যুবক মারা গেছেন নদীতে সাঁতরানোর সময়। বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলছিল কারা আগে নদী পার হতে পারবেন। তিনি মাঝ নদী পর্যন্ত যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে মরদেহ।
তার নাম মাজহারুল ইসলাম। ২৮ বছর বয়সী এই যুবক করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের সাইটুটা এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঢাকী সেতুর নিচে ঘোড়াউত্রা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মিঠামইন ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
নিহতের বন্ধু সোহাগ মিয়া জানান, মাজহারুল ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঈদে বাড়ি এসেছিলেন। সকালে তারা সিদ্ধান্ত নেন হাওরে ঘুরতে আসবেন।
হাওরের নদীতে গোসল করবেন বলে বাড়ি থেকে পাঁচ বন্ধুর সবাই বাড়তি কাপড়ও এনেছিলেন সঙ্গে করে। পরে ঢাকী সেতুর নিচে পরিষ্কার পানি দেখে গোসলের ইচ্ছা হয় তাদের।
পানিতে নেমে অনেকক্ষণ সাঁতার কাটেন তারা। দুপুর দুইটার দিকে নদী পার হওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। পাঁচজনের মধ্যে চারজন নদী পার হতে পারলেও অর্ধেক নদীতে গিয়ে ডুবে যান মাজহারুল। তাকে খুঁজেও না পেয়ে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে।
যুবকের ডুবে যাওয়ার খবরে নদী তীরে ভিড় করে শত শত মানুষ
মিঠামইন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের কর্মকর্তা আল-আমিন জানান, বাহিনীটির ডুবুরি দল প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মাঝ নদীর তলদেশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাঁতার জানা মাজহারুল কীভাবে ডুবে গেলেন- তার ব্যাখ্যায় আল আমিন বলেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকতেন। সাঁতার জানলেও চর্চা ছিল না। নদীটা একেবারে সরু ছিল না। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর হাঁপিয়ে উঠেন বলে ধারণা করছি।’
মিঠামইন থানার উপপরিদর্শক আল মামুন হাওলাদার জানান, মরদেহ উদ্ধার করার পর তার পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে। এরপর মরদেহটি থানায় নেয়া হয়।