ফরিদপুরে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ১৮ মামলার আসামি খায়রুজ্জামান খাজা মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় তার দুই সহযোগীকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। খাজার বাড়ি সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর গ্রামে।
খাজার অপর দুই সহযোগী হলেন কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের সোহেল মাতুব্বর এবং মধুখালী উপজেলার ভাটি গোপালদী গ্রামের রাজু পাটোয়ারি।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া খাজার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে অস্ত্র আইনে একটি মামলায় তিনি চার বছর কারাদণ্ড ভোগ করে সাত মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পান।
খাজার বিরুদ্ধে পুলিশ বর্তমানে তিনটি মামলার তদন্ত করছে। বাকি ১৪টি মামলা বিচারাধীন।
এছাড়া খাজার সহযোগি সোহেল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা এবং অপর সহযোগী রাজু পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
জামাল পাশা বলেন, গ্রেপ্তারের সময় খাজার জিম্মা থেকে ছিনতাই করে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই মোটর সাইকেলটি খাজা গত ১২ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে কানাইপুর ফজলু মিয়ার বাসার সামনে থেকে মো. পারভেজ মোল্লার কাছ থেকে ছিনতাই করেছিলেন।
এ ঘটনায় পারভেজ গত ১ মে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দুই লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে খাজাকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় খাজাকে তার দুই সহযোগীসহ শুক্রবার রাতে সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, খাজা একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। কানাইপুর বাজারের প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার চাঁদাবাজির শিকার।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খাজা ও তার দুই সহযোগীকে জেলার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।