জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে।
অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি রোগী ও তাদের স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামতের জন্য গ্যারেজে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলার ৩১ শয্যা হাসপাতালটির জন্য এই অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করে। এ উপজেলায় জনসংখ্যা দুই লাখেরও বেশি।
বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আর কোন অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়নি।
অ্যাম্বুলেন্সে নানা সময় যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলেও এত দিন কোনো রকমে চালিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে একেবারেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
এ অবস্থায় রোগী ও তাদের অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে।
পাঁচ গ্রামের বায়েজিদ হোসেন ও পাঁচশিরা বাজারের সুদেব কুমার বলেন, ঈদের দিন বিকেলে কালাই পৌরসভার ঠুসিগাড়ী এলাকায় বাইক নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি ও তার বন্ধু মারাত্মক আহত হন। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করার কথা হলে অ্যাম্বুলেন্স বিকল হওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাড়া করে তারা বগুড়া যান।
আরও অনেকেই অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনা, হৃদরোগ ও মাতৃত্বজনিত কারণে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন। এ অবস্থায় দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করে চালু করাসহ আরও একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্সের দাবি করেন এলাকাবাসী।
কালাই উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন জানান, স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাযিত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের মো. তানভীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুরাতন অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করা হচ্ছে, এছাড়া নতুন অ্যাম্বুলেন্সের জন্যও আবেদন করা হয়েছে।