বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইসিইউ: সব আছে, শুধু রোগী নেই

  •    
  • ১৪ মে, ২০২১ ২৩:০২

স্থানীয় মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মঙ্গলকান্দির আইসোলেশন ইউনিটটি (করোনা হাসপাতাল) করা হয়েছিল। কিন্তু জনবল না থাকায় এটি চালু হচ্ছে না। অথচ সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মতো যাবতীয় সরাঞ্জাম এখানে রয়েছে। যদি চালু না করে তাহলে টাকার অপচয় করার কী দরকার ছিল?

সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সব প্রস্তুত থাকার পরও চালু করা যাচ্ছে না ২০ শয্যার ফেনীর মঙ্গলকান্দি করোনা হাসপাতাল।

দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেক সরাঞ্জাম। অথচ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে একই ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ ও উপসর্গ থাকা রোগীরা একসঙ্গে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে অক্সিজেন সংকটও রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, জনবল না দেয়ায় হাপাতালটি প্রস্তুত থাকলেও রোগীদের কোন কাজে আসছে না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মঙ্গলকান্দির আইসোলেশন ইউনিটটি (করোনা হাসপাতাল) করা হয়েছিল। কিন্তু জনবল না থাকায় এটি চালু হচ্ছে না। অথচ সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মতো যাবতীয় সরাঞ্জাম এখানে রয়েছে। যদি চালু না করে তাহলে টাকার অপচয় করার কী দরকার ছিল?

স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের বাড়তি চাপ কমাতে ও সংক্রমণ রোধে এই হাসপাতাল চালু করা দরকার। কারণ অনেকেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটের জন্যও করোনা টেস্ট করাচ্ছেন। তারা সবাই একই হাসপাতালে ছুটছেন। যে কারণে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আছে।

সোনাগাজী উপজেলার ডাক বাংলায় ২০ শয্যার হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয় ৯ মাস আগে। অন্যান্য সরঞ্জামের পাশাপাশি বসানো হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন। কিন্তু একজন রোগীও সেবা পায়নি। পড়ে আছে সব সরঞ্জাম। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়।

এরপর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন বসানো হয়।

জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এস এস আর মাসুদ রানা বলেন, রোগী বাড়লে জনবলের সমন্বয় করে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু করা হবে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, রোগী সংখ্যা কম হওয়ার কারণে চালু করা যায়নি। যদি রোগী সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে সেটি চালু করা হবে। অক্সিজেন যাতে করে নষ্ট না হয় সেজন্য সচল রাখা হচ্ছে।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৫২৩।

লোকবল সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আইসিইউ স্থাপনের জন্য যে জনবল প্রয়োজন তার অনেক অভাব রয়েছে। আমরা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জনবল নিয়োগ জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর