বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৪ মে, ২০২১ ০০:২৭

উপজেলা চেয়ারম্যান পিআইওর সঙ্গে টাকা বিতরণের বিষয় কথা বলার সময় পিআইও চেয়ার থেকে না ওঠায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা পিআইওর শার্টের কলার চেপে ধরে ঘুষি মারতে শুরু করেন। এসময় তার অনুসারীরাও পিআইওকে কিলঘুষি মারেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঈদ উপলক্ষে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়ন পরিষদে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) প্রকল্পের টাকা বিতরণের সময় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বুধবার সকালে চর রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফের টাকা বিতরণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই কমান্ডার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পিআইওর সঙ্গে টাকা বিতরণের বিষয় কথা বলেন। এ সময় পিআইও চেয়ার থেকে না ওঠায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা পিআইওর শার্টের কলার চেপে ধরে ঘুষি মারতে শুরু করেন। এসময় তার অনুসারীরাও পিআইওকে কিলঘুষি মারেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই কমান্ডারের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা গতকাল দুপুরে আমার ওপর হামলা চালায়।

‘কয়েকজন সহকর্মী ও গ্রাম পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। গত রাতেই আমি থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর পুরো দায়িত্ব না দিয়ে আমি নিজে উপস্থিত থেকে নিয়ম-নীতি অনুসারে শৃঙ্খলার সঙ্গে সুবিধাভোগীদের মধ্যে টাকা বিতরণ করায় আমার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো বলেন, পিআইও আমার সঙ্গে কথা বলার সময় চেয়ারে বসে ছিলেন। আর দুপুর একটার মধ্যে টাকা বিতরণ শেষ করার জন্য তিনি তাড়াহুড়ো করছিলেন। এজন্য স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাক্কা দিয়েছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়নি। উল্টো জনরোষ থেকে পিআইওকে তারা উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।’

রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী জানান, সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা এবং ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নবিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় রাতেই একটি মামলা হয়েছে। যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন, জুয়েল রানা ও আব্দুর রহমান বিশ্বাস। তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর