কখনও টেবিলের ওপর, কখনও বা ভ্যানে। বদল হচ্ছে একটার পর একটা স্থান। বৃষ্টি নামলে পড়তে হয় আরও বিপাকে।
এভাবেই চলছে বরিশালে বিনামূল্যের মানবতার বাজার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কোনো স্থানে জায়গা না পাওয়ায় চারদিন ধরে বরিশালে মানবতার বাজারের কার্যক্রম চলছে খোলা আকাশের নিচে।
স্থান পরিবর্তন করে যখন যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় সেখানেই চলছে এই ভ্রাম্যমাণ বাজার।
গত ৬ মে থেকে নগরীর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের গ্যারেজে মানবতার বাজারের কার্যক্রম চালু হয। কিন্তু দুই দিনের মাথায় সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয় বলে জানান এর উদ্যোক্তা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বরিশাল জেলার সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও বিস্তর অভিযোগ করেন তিনি। মানবতার বাজার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।
বুধবার সকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে খোলা আকাশের নিচে ভ্রাম্যমাণ মানবতার বাজার চতুর্থ দিনের মত পরিচালনা করা হয়।
সেখানে তালিকা অনুসারে খেটে খাওয়া মানুষরা বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করেন। দুপুরে নগরীর কাউনিয়া এলাকায় বসানো হয় এই বাজার।
এভাবে কোনো দিন আমতলার মোড়, আবার কোনোদিন বটতলা এলাকায় বসে বাজার।
মনীষা চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৬ মে অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ে এ বছর বিনা মূল্যে মানবতার বাজার চালু করা হয়। দুইদিন পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের স্থান ত্যাগ করতে বলেন।
‘এই উদ্যোগ চালু রাখতে আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা ব্যবহার করতে যোগাযোগ করি। কিন্তু কেউ স্থান দিতে সম্মত হয়নি।
‘এরপর একদিন আমাদের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ৯ মে সকালে ভ্যানে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাজার চালু করা হয়।’
৯ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত দুই হাজার দুইশ মানুষ এখান থেকে সহায়তা নিয়েছে। সহায়তা পেলে ঈদের পরেও চলবে।
গত বছর করোনা মহামারি শুরুর পর এপ্রিল মাস থেকে বিনা মূল্যে মানবতার বাজার, অক্সিজেন ব্যাংক, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, চিকিৎসাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল।
চলতি বছরে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বৃদ্ধি পেলে এই কার্যক্রম আবারও শুরু করা হয়। মানবতার বাজার থেকে বিনামূল্যে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার মানুষ সহায়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।