হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কামাল মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য প্রতিপক্ষের প্রায় ৫০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বাদীপক্ষ।
বুধবার দুপুরে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আজমিরীগঞ্জ থানার মামলাটি করেন নিহত কামালের বাবা ইয়াকুব মিয়া।
মঙ্গলবার সকালে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিনই পুলিশ ৩৫ জনকে আটক করে। বুধবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালান আসামিপক্ষের লোকজন। এই সুযোগে তাদের প্রায় ৫০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। এ সময় গরু-ছাগল, ধান-চালসহ বিভিন্ন মূল্যবানসামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামবাসী দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইয়াকুব মিয়া ও অপর পক্ষে শের আলী। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও রয়েছে।
সোমবার বিকেলে খলায় ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে ইয়াকুব ও শের আলীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দিলেও মঙ্গলবার সকালে তারা আবার বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই কামাল মিয়া মারা যান। আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ৩৫ জনের মধ্যে ৩২ জনই এজাহারে নাম থাকা আসামি। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তাদের একজন খুন হয়েছে, একটু ভাঙচুর হতে পারে। তবে আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’