গাজীপুরের টঙ্গীতে হামীম গ্রুপের পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, লুটপাট এবং পুলিশের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৭৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ কাউকেই আটক করতে পারেনি।
কারখানাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (টঙ্গী জোন) আশিকুর রহমান আশিক মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৯০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশ কারখানাটির শ্রমিক।
অপরদিকে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজমুল হুদা পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
কারখানাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তার আশিকুর রহমান আশিক বলেন, সোমবার দুপুরে কারখানার কিছু শ্রমিক ও বহিরাগত কয়েকশ লোক কারখানায় ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় কারখানায় প্রায় তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের ওপর হামলায় ১৯ পুলিশ আহত হন। আসামিদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।’
সোমবার দুপুরে টঙ্গীর হামীম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ কালেকশন নামক ওয়াশিং কারখানার শ্রমিকরা ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা কারখানায় ভাঙচুরও চালায়। পরে পুলিশ এসে গুলি করলে বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়।
শ্রমিকরা বলছিলেন, ঈদে তিন দিনের ছুটি থাকলে বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, দূরপাল্লার বাস বন্ধ। এই অবস্থায় আসা যাওয়াতেই সময় লাগবে তিন দিন।
পরে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ঈদের ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।