বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়ি ফিরতে ট্রলারে মেঘনা পাড়ি

  •    
  • ১২ মে, ২০২১ ২০:১৪

‘নদী এখন শান্ত থাকলেও খারাপ হতেও বেশি সময় লাগে না মেঘনার। এত ভোগান্তির পরও বাড়ি ফিরতে পারলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সারা দেশে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে লঞ্চসহ দূরপাল্লার সব যানবাহন। এতেও ঠেকানো যায়নি ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল।

ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, অটোরিকশাসহ যে পরিবহন পাচ্ছে তাতে চড়েই ছুটিছেন গ্রামের বাড়ি। তাদের মধ্যে অনেকে চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে পাড়ি দিচ্ছে উত্তাল মেঘনা।

জীবনের ঝুঁকি থাকলেও ঈদে পরিবারের সান্নিধ্যে যেতে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না তারা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।

তবে যাত্রীরা বলছেন, ঝুঁকি আছে জেনেও পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদের সময়টা কাটাতেই এত কষ্ট সহ্য করা।

বুধবার ভোর থেকে চাঁদপুর বড় স্টেশন ঘাটে দেখে যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে উঠছে ট্রলারে। পাড়ি দিচ্ছে মেঘনা নদী।

শরীয়তপুরের ফতেজংপুর এলাকার শুক্কুর আলী জানান, তিনি ঢাকার গুলিস্থান থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ভোরে। ছয়বার গাড়ি বদল করে ও হেঁটে অবশেষে চাঁদপুর বড়স্টেশন পৌঁছান বেলা তিনটার দিকে। এখন ট্রলারে করে মেঘনা পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে।

তিনি বলেন, ‘রাস্তায় প্রতি কদমে কদমে ভোগান্তি। ঢাকা থেকে কিছু রাস্তা বাসে, কিছুটা পিকআপভ্যানে, হেঁটে ও অটোরিকশায় করে অনেক ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। এখন আবার মেঘনা পাড়ি দিতে হবে নৌকায় করে। সকল ক্ষেত্রেই কয়েক গুণ বেশি টাকা দেয়া লেগেছে।

‘নদী এখন শান্ত থাকলেও খারাপ হতেও বেশি সময় লাগে না মেঘনার। এত ভোগান্তির পরও বাড়ি ফিরতে পারলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।’

চট্টগ্রাম থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, ‘আমি শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ যাচ্ছি। সকল ক্ষেত্রেই আমাদের অত্যন্ত কষ্ট ও ভোগান্তি স্বীকার করে যাওয়া লাগছে। আগে ট্রলার ভাড়া ৬০ টাকা থাকলেও এখন ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। ঝুঁকি আছে জেনেও এই নদী পাড়ি দেয়া লাগছে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায়।’

চাঁদপুর বড় স্টেশন ঘাটের মাঝি তোফাজ্জল হোসেন জানান, তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের শরীয়তপুর ফেরিঘাট এলাকায় নামিয়ে দিচ্ছেন। এ জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন।

তিনি জানান, তারা মূলত নৌকা দিয়ে পর্যটকদের আশপাশের চরে নিয়ে যান। কিন্তু এখন ঘরমুখো যাত্রীর চাপ থাকায় তাদের নিয়ে যাচ্ছেন।

তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি নৌকায় বয়া ও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তোফাজ্জল।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এসব নৌকা মূলত আশপাশে এলাকায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। দূরে কোথাও যায় না। কোনো নৌকায় যেন অতিরিক্ত যাত্রী না নেয়া হয় সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর