বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাড়া নেই, হেঁটেই বাড়ির পথে

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ২০:৫০

ইনছান বলেন, ‘বেতন-ভাতা পেয়েছি। বউ-বাচ্চার জন্য কিনাকাটাও করছি। গতকাল বড় ছেলের চিকিৎসাবাবদ খরচের পর হাতে আছে মাত্র ১ হাজার টাকা। টঙ্গী স্টেশন রোডে এসে দেখি দুজনের ভাড়াই চাচ্ছে ১৬০০ টাকা।’

পোশাকশ্রমিক ইনছান আলীর বাড়ি শেরপুরের নকলা থানার করিম নগরে। ২০ বছর ধরে কাজ করছেন গাজীপুরের টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায়। সেই সূত্রে থাকেনও টঙ্গীতে।

বেতন-ভাতা মিলিয়ে সোমবার কারখানা থেকে পান ৮ হাজার টাকা। সেই টাকায় স্ত্রী-সন্তানদের জন্য কেনাকাটা করার পর বাড়ি যাওয়ার কথা ইনছানের। তবে রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বড় ছেলে রুস্তম আলীর বাঁ হাত ভেঙে যায়। তার চিকিৎসায় খরচ হয়ে যায় ৪ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়ে করেছেন ঈদের কেনাকাটা।

ছেলেকে নিয়ে মঙ্গলবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ইনছান। টঙ্গী স্টেশন রোডে এসে দেখেন গাড়ি কম। তার কাছে যে টাকা আছে তার থেকে ভাড়াও বেশি। পরে ছেলেকে নিয়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

ইনছান বলেন, ‘বেতন-ভাতা পেয়েছি। বউ-বাচ্চার জন্য কিনাকাটাও করছি। গতকাল বড় ছেলের চিকিৎসাবাবদ খরচের পর হাতে আছে মাত্র ১ হাজার টাকা। টঙ্গী স্টেশন রোডে এসে দেখি দুজনের ভাড়াই চাচ্ছে ১৬০০ টাকা।

‘তাই বাপ-ছেলে মিলে হেঁটেই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এবার ঈদ করব। যদি কমে ট্রাক বা লরি পাই তাহলে ভালো হবে। নাইলে হেঁটেই বাড়িতে যেতে হবে।’

গাড়ি সংকট ও কয়েক গুণ ভাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ

আরেক পোশাকশ্রমিক নিলুফা বেগমও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা হন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়।

টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় রওনা হওয়া নিলুফা কখন গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন তাও জানেন না। তবে পরিবহন সংকট ও ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় হেঁটেই বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এবার ঈদে বাড়ি যেতে সবাইকে নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। ঈদে বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ রয়েছে। তবে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ঠেকানো যায়নি।

যে যেভাবে পারছেন বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। পথে গাড়ি সংকটে ভোগান্তির পাশাপাশি কয়েক গুণ ভাড়াও গুনতে হচ্ছে তাদের। ভাড়া না থাকায় অনেকে তাই হেঁটেই রওনা হয়েছেন বাড়ির পথে। ট্রাকে ও গাড়ির ছাদে উঠেও অনেককে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ জানান, দুই দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শিল্পনগরীর সব কলকারখানা ছুটি হওয়ায় সেই চাপ আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর