ঈদের আগে তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছেন ময়মনসিংহবাসী। সরু আর ভাঙাচোরা সড়কে ১৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে হচ্ছে দেড় ঘণ্টায়।
স্থানীয়রা বলছেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানজট না থাকলেও বিকেল ৪টার পর থেকেই গাড়ির চাকা চলে থেমে থেমে। সন্ধ্যার আগে যানজট চরমে পৌঁছায়। তবে রাত ৮টার পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে যানজট।
সবচেয়ে বেশি যানজট হয় শহরের পাটগুদাম ব্রিজ থেকে ময়লাকান্দা এলাকা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দেখা যায় শম্ভুগঞ্জ থেকে পাটগুদাম ব্রিজ পার হতে দুই লেনের মহাসড়কের বাঁ পাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। চার-পাঁচ মিনিট পরপর একটু করে এগুচ্ছে সব ধরনের যানবাহন।
একদিকে ঈদ, অন্যদিকে সরু আর ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানজটে নাকাল হচ্ছে সবাই। শম্ভুগঞ্জ বাজার থেকে পাটগুদাম ব্রিজ পার হতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। যানজটের কারণে একই স্থানে যেতে এখন সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। ঈদের আগে যানবাহনের চাপ বাড়বে জেনেও ময়লাকান্দা এলাকায় খানাখন্দে ভরা সড়কটি চলাচল উপযোগী করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। চালকরা জানান, এই এলাকা পর্যন্ত গাড়ি আসলে তাদের নাভিশ্বাস শুরু হয়।
যানজটে থেমে আছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাকচালক বলেন, ‘মহাসড়কটি এখন যানজটের আতুরঘরে পরিণত হয়েছে। আমাদের গাড়ির চাকা আর যন্ত্রাংশের বারোটা বেজে যাচ্ছে। অনেক সময় নাটবল্টু খুলে পড়ে যাচ্ছে।’
মোটরসাইকেল আরোহী আল আমিন বলেন, ‘যানজটের কারণে প্রায়ই ইচ্ছা করেই উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে চলে যাই ৷ বিপরীত দিক থেকে আসা যেকোনো গাড়ি চাপা দিলে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। তবুও সময়ের কারণে ইচ্ছার বিরুদ্ধে উল্টোপথে গাড়ি চালাতে হয়।’
অটোরিকশাচালক সাকিব মিয়া বলেন, ‘মাহাজনের গাড়ি চালাই। রাইতে গিয়া ৬০০ ট্যাহা আমদানি দেই। সারা দিনে ৭৮০ ট্যাহা ভাড়া মারছি। ময়লাকান্দা এলাকায় যাত্রী লইয়্যা আধাঘণ্টা যাবৎ বইসা আছি। আজকে ৯০০ ট্যাহার বেশি মনে অয় টিপ মারন যাইতো না। কী আর করুম, মাহাজনরে ৬০০ ট্যাহা দিয়া ৩০০ ট্যাহা লইয়্যা চাউল-ডাল কিইন্না বাড়িত যায়াম।’
পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যানজট নিরসনের চেষ্টা করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সালমান।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই দুই লেনের এই মহাসড়কটি সরু আর খানাখন্দে ভরা। এ ছাড়া লোকাল বাসগুলো এখন মহাসড়কে চলছে। ঈদের আগে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। তাই নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’