নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার রহিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক নারী সহকর্মী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগটি করা হয়। এ ঘটনায় সিভিল সার্জন কার্যালয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারী কর্মীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে আসছিলেন রহিম। একাধিকবার সতর্ক করার পরও থামেননি তিনি। গত ২৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে প্রশিক্ষণের টাকা চাইতে গেলে ওই নারীকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন রহিম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ৬ মে প্রশিক্ষণের কাগজপত্র নিয়ে রহিমের কাছে গেলে ফের অশালীন আচরণ করেন। ওই সময় খারাপ ইঙ্গিত প্রদর্শনের পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখান রহিম।
এমতাবস্থায় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই নারী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি। আশা করি সঠিক বিচার পাব।’
অভিযোগের বিষয়ে রহিমের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবাদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দুজনই হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। দুজনই আমার অধীনে সরাসরি কাজ করেন।
‘অভিযোগটিও গুরুতর। আমি তদন্ত করলে হয়তো একপেশে হতে পারে- এমন শঙ্কায় অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বেলা পৌনে ৩টার দিকে সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া বলেন, ‘অভিযোগটি মাত্র পেয়েছি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’