যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য লিটন হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, নিজ ঘরে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন তিনি। তবে এই কারণ ঝিকরগাছা থানা-পুলিশ নিশ্চিত করেনি। আবার যশোর সার্কেল পুলিশের এএসপি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু জানালেও, নিজ বাড়িতে এটি ঘটেছে কি না, তা পরিষ্কার করেননি।
লিটন হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী হত্যা মামলার আসামি। ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামে তার বাড়ি।
বাঁকড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ রিপন বালা জানান, দুপুরে বাড়িতেই লিটন অসুস্থ হন বলে তিনি শুনেছেন। এরপর সোমবার রাত আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
হাজিরবাগের আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্বপন খান নিউজবাংলাকে জানান, লিটন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতেন। সোমবার পাঁচপোতা গ্রামের বাড়িতে বসে সঙ্গীদের নিয়ে বোমা বানাচ্ছিলেন লিটন। তখন বিস্ফোরণে আহত হন।
লিটনের নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলীকে হত্যার মামলা বিচারাধীন। ওমরের ছেলে মো. মিন্টুর বাড়ি পাঁচপোতা গ্রামেই। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রামের সবাই বোমার প্রচণ্ড আওয়াজ শুনেছি। তারপর পুলিশও আসছিল গ্রামে। পুলিশ যখন আসছিল তার আগেই লিটন মেম্বারকে গাড়িতে করে গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় নিয়ে যায়।’
লিটনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কারণ জানাননি ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদুর রহমান। বিস্ফোরণের ঘটনাও জানা নেই বলে দাবি তার।
শাহেদুর রহমান বলেন, লিটনের মরদেহ এখনও এসে পৌঁছেনি। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
যশোর সার্কেলের এএসপি তৌহিদুর রহমান বোমা বিস্ফোরণে লিটনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরণে লিটন মেম্বার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। এ কারণে মৃত্যু হয়।
তবে নিজ বাড়িতে বোমা বানাতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, সেটি তিনি জানাননি।