বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যানজটে ইফতার করতে পারেননি হাজারো যাত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ মে, ২০২১ ০০:১৫

ময়মনসিংহের তীব্র যানজটের কারণে ইফতার করতে পারেননি কয়েক হাজার যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিক ও চালকরা। আবার ইফতারের আগ মুহূর্তে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় আধাঘন্টার গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের।

ময়মনসিংহের সবচেয়ে ব্যস্ততম মহাসড়ক পাটগুদাম ব্রীজ থেকে চায়নামোড় পর্যন্ত তীব্র যানজটের কারণে ইফতার করতে পারেননি কয়েক হাজার যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিক ও চালকরা।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চরম যানজট অব্যাহত থাকে।

ইফতারের আগ মুহূর্তে শুরু হয় বৃষ্টি। প্রায় আধাঘন্টার গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। ট্রাফিক পুলিশ শত চেষ্টা করেও রাত ৮টা পর্যন্ত যানজট নিরসন করতে পারেনি।

সরেজমিনে বিকেল সাড়ে ৫টায় ব্রীজের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহগামী যানবাহনের তীব্র যানজটে আটকে থাকে কয়েক শ ছোট-বড় যানবাহন। সড়কের বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চাকা থেমে থেমে চলেছে।

আধাঘন্টার চেষ্টায় পাটগুদাম ব্রীজ পাড় হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোডের রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায় আরও ভয়াবহ অবস্থা। একেকটি গাড়ির চাকা ৫-১০ মিনিট পর পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘুরছে।

এরপর ইফতারের আগ মুহূর্তে বৃষ্টি শুরু হয়ে প্রায় আধাঘন্টা থেমে থেমে চলে। আবারও পাটগুদাম ব্রীজে গিয়ে দেখা যায় যানবাহনের হযবরল অবস্থা। মাত্রাতিরিক্ত যানজটে নাকাল যাত্রীসহ যানবাহনের চালকরা।

আবারও পৌঁনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় ময়লাকান্দা পর্যন্ত যাওয়া গেলেও দুই লেনের এই সড়কের বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালকরা স্টার্ট বন্ধ করে বসে থাকেন। সবারই চোখে মুখে বিরক্তির ভাব।

এখান থেকে নগরীর চায়নামোড় পর্যন্ত যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। রাত ৮টার পর থেকে ধীরে ধীরে কমেছে যানজট। তবে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চরম ভোগান্তিতে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ।

পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অটোরিকশায় বসে ছিল নুসরাত জাহান রুমা নামের এক যাত্রী। তার কোলে ছিল জামীম হাসান নামে ছোট্ট শিশু। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহের ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিকে যাচ্ছি ছেলেকে প্রাইভেট ডাক্তার দেখানোর জন্য। মনে হচ্ছে আজকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হবে না।’

ট্রাক চালক আরশেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ থেকে পাটগুদাম ব্রীজ পর্যন্ত আসলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যেই মাত্রাতিরিক্ত যানজট শুরু হয়। দুই লেনের ছোট্ট মহা-সড়কে অগনিত গাড়ি চলাচল করে। এই মহাসড়কটি প্রশস্ত করা হলে যানজট থেকে রেহাই পাওয়া যেত।’

রাত সোয়া সাতটার দিকে পথচারী আশরাফুল আলম অভি বলেন, ‘তারাকান্দা থেকে কেওয়াটখালী যাচ্ছি জরুরি প্রয়োজনে। মাহিন্দ্র গাড়ীতে করে নগরীর ময়লাকান্দা থেকে ব্রীজের কাছাকাছি এসেছি প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেল। রাস্তার পাশের দোকান থেকে পানি কিনে ইফতার করেছি। ব্রীজ পার হতে আরও কত ঘণ্টা লাগে ঠিক নেই। তাই হেঁটেই যাচ্ছি।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহে প্রবেশের একমাত্র মহাসড়ক এটি। এই সড়ক পার হয়েই ঢাকা যেতে হয়। ফলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে মাঝেমধ্যেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়ক সরু থাকলেও যানবাহনের সংখ্যা বেশি থাকার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যানজট সমাধানের জন্য। অনেকে উল্টো পথে গাড়ি চালানোর ফলে যানজট নিরসনে অনেকটা বেগ পেতে হয়। আজকেও ঠিক এমনটাই হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর