চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পরি নামের একটি বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই তিন শাবক জন্ম হলেও বিষয়টি সোমবার জানাজানি হয়েছে।
সোমবার রাতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরি গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। শাবকগুলো সুস্থ আছে। এদের ওজন ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি।
এর আগে, ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিয়েছিল তিন শাবক। ১৬ ও ১৮ নভেম্বর দুটি শাবক মারা যায়। মুমূর্ষ তৃতীয় শাবকটির প্রাণ রক্ষার জন্য সেটিকে নিজের হেফাজতে নেন শাহাদাত হোসেন শুভ। শাবকটির নাম দেন বাইডেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে নিজেই বোতলে করে বাইডেনকে দুধ খাইয়েছেন তিনি। শাবকটিকে গত ২১ এপ্রিল খাঁচায় ছেড়ে দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকায় কেনা ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরীকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই রাজ-পরি যুগলের তিনটি ছানার জন্ম হয়, যার মধ্যে দুটি ছিল হোয়াইট টাইগার, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা।
পরদিন একটি হোয়াইট টাইগার মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটির নাম রাখা হয় শুভ্রা। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় জয়া। শুভ্রা বাংলাদেশের প্রথম সাদা বাঘ।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজ-পরির সংসারে দুটি শাবকের জন্ম হয়। পরদিন একটি মারা যায়। ইনকিউবেটরে রেখে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে মেয়ে বাঘটির প্রাণ রক্ষা করে চিড়িয়াখানার কর্মীরা। বাঘটি বেড়ে ওঠার সময়ই দেশের করোনা মহামারি শুরু হয়। তাই মেয়ে বাঘটির নাম দেয়া হয় করোনা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এখন মোট বাঘের সংখ্যা ৯টি।