টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে একটি নীলগাই নিয়ে বিপাকে পড়েছিল এলাকাবাসী। পরে বনবিভাগ প্রাণীটিকে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, গত শনিবার থেকে একটি নীলগাই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছোটাছুটি শুরু করে। বিভিন্ন ক্ষেতে প্রাণীটির এলোপাতাড়ি দৌড়াদৌড়ির কারণে কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়েছে। এক নজর দেখার জন্য মানুষ তার পেছন পেছন দৌড়েছে। ভিড় করেছে শত শত মানুষ । বিশ্রাম নিতে না পেরে হাপিয়ে ওঠে নীলগাইটি।
পরে দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খান প্রাণিসম্পদ ও বন বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীকে উদ্ধার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বন বিভাগের লোকজন সোমবার ঘাটাইল উপজেলা থেকে নীলগাইটিকে উদ্ধার করে এবং বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠিয়ে দেয়।
উপজেলার বাঘেরহাট নচিয়ামামুদপুর গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ি খাইরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, নীলগাইটিকে প্রথমে চেড়াভাঙ্গার পাহাড়ের টিলার ওপর দেখতে পান এলাকার লোকজন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে গরুটিকে দেখার জন্য ভিড় করলে সেটি ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে এবং মানুষের চোখের আড়ালে চলে যায়। পরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে সংবাদ আসে তারা গরুটিকে বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পেয়েছেন।
দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খান বলেন, হয়তো ভারত থেকে রাতের আধারে ভুল পথে নীলগাইটি বাংলাদেশে চলে এসেছে এবং পরবর্তীতে লোকালয়ে এসে পড়ে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (টাঙ্গাইল) জহিরুল হক বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘাটাইল থেকে নীলগাইটিকে উদ্ধার করি। প্রাণীটি কোথা থেকে, কীভাবে এসেছিল, সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এর আগে ১৮ মার্চ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা থেকে একটি মৃত নীলগাই উদ্ধার করা হয়। সেটিকে বঙ্গবন্ধু আঞ্চলিক জাদুঘরে রাখা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়ও একটি নীলগাই পাওয়া যায়। পরে এটিকে চিকিৎসা শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর উদ্যানে ছেড়ে দেয়া হয়।