বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ শপিংয়ে চিড়েচ্যাপ্টা স্বাস্থ্যবিধি

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৯:৪১

ক্রেতার মুখে মাস্ক থাকলেও সঙ্গে আসা শিশুরা মাস্ক পরেনি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেতা বলেন, ‘পোলাপানের করোনা অয় না। হেরার কুনু ঝুকি নাই। পোলাপানে মাস্ক পইরা থাকতারে না।’

ঈদ সামনে রেখে নেত্রকোণায় শপিং মলগুলোতে উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই শহরের বড়বাজার, ছোটবাজার মার্কেটগুলোতে তুমুল বেচাকেনা চলছে। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ তাদের পছন্দের জিনিস কিনতে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন ।

তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও মানছেন না অনেকেই। প্রশাসনের মধ্যে গা ছাড়া ভাব। কঠোর তদারকি নেই। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও

শপিং মল খোলা থাকে।

জেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র শহরের বড়বাজার। সেখানে একটি শপিং মলে শিশুদের পোশাকের দোকানে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন শহরের নাগড়া এলাকার গৃহবধূ আমেনা বেগম। বাচ্চাদের জন্য জামা, প্যান্ট কিনছেন। দোকানটিতে তখন আরও অন্তত চারজন ক্রেতা সন্তানদের নিয়ে পোশাক কেনায় ব্যস্ত। আমেনা বেগমের মুখে মাস্ক আছে। তবে তার সন্তানদের মুখে মাস্ক নেই।

জানতে চাইলে বললেন, ‘পোলাপানের করোনা অয় না। হেরার কুনু ঝুকি নাই। পোলাপানে মাস্ক পইরা থাকতারে না।’

সেখানে আরেক ক্রেতা সাতপাই এলাকার বাসিন্দা আরিফ খান। তিনি সন্তানদের পাশাপাশি নিজেও মাস্ক পরেননি। মাস্ক পরা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক সঙ্গে আছে। পরি নাই আরকি। কাপড় কিনতাছি তো। কিনাকাটার পরে মাস্ক লাগাইয়াম।’

উপচে পড়া ভিড় নিয়ে একটি পোশাক দোকানের বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেহেন মানুষে যদি নিজেরা না মানে আমরা কী করাম। আমরা তো কই, হেরা মানে না।’

একই অবস্থা শহরের প্রায় সব বিপণিবিতানে। নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ জোরালোভাবে কাজ করছে। মার্কেটগুলোতে সরকার নির্ধারিত সময়ে দোকানপাট খোলা ও বন্ধ হচ্ছে। পুলিশ পোশাক ও সাদা পোশাকে দুই স্তরে কাজ করছে।

‘মানুষের চাপের তুলনায় মার্কেটে জায়গা কম। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত সচেতন করে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর