নিখোঁজের ২৭ দিন পর রাজমিস্ত্রি ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেনী পরশুরামের ভারতীয় সীমান্তে পুঁতে রাখা হয়েছিল তার মরদেহ। টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধে তাকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা করে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, দুজন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যে ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার কারণ ও জড়িতদের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে নিখোঁজ হন ইয়াসিন। তার সন্ধান চেয়ে পরশুরাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বড় ভাই হারুন। গোয়েদা পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে। বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের পর ৮ মে আটক করা হয় সন্দেহভাজন মোহাম্মদ সেলিম ও আবুল কালাম নামের দুজনকে।
পরশুরামের মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেন।
সেলিম জানান, কষ্টিপাথর কেনাবেচা ও রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়ে ইয়াসিনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। পরিচিত মোশারফ ও কুসুমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ইয়াসিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ১৩ এপ্রিল বিকেলে ফেনী শহরের বনানী পাড়ার একটি বাসায় শাহনাজ নামে এক নারীর মাধ্যমে ডেকে নেয়া হয় ইয়াসিনকে। সেখানেই হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করে সীমান্ত এলাকায় নেয়া হয়। এরপর সীমান্তের ৫০ গজের মধ্যে মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হয়।
আসামি সেলিম গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থল দেখিয়ে দিলে পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রোববার সেখানে যান। বেলা দেড়টার সময় সীমান্ত পিলার সংলগ্ন স্থান থেকে মরদেহ উঠানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের পর ইয়াসিনের বড় ভাই হারুন ওরফে নান্টু পরশুরাম মডেল থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সেলিম, এমাম হোসেন, মোশারফ হোসেন, কুসুম, শাহনাজ ও সিএনজিচালক জামালকে। সেলিম ও জামালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা পলাতক।