কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী কচাকাটা ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে বিয়ে করে অস্বীকৃতি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা।
স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে তিনদিন ধরে সচিব আতাউর রহমানের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন।
আতাউর রহমানের বাড়ি কচাকাটা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদেরই সচিব হিসেবে কর্মরত।
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নেয়া সেলিনা পারভীন কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। গত শনিবার থেকে তিনি আতাউরের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
সেলিনা পারভীন আতাউর রহমানের বাড়িতে অবস্তান নেয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন অভিযুক্ত আতাউর।
সেলিনা জানান, প্রায় এক বছর আতাউরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১৮ মার্চ তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর কয়েকদিন ভালাে চললেও এখন স্বীকৃতি চাওয়ায় তাকে এড়িয়ে চলছেন আতাউর। তাকে আর স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে ৭ মে কচাকাটা থানায় একটি অভিযােগ করেছেন বলে জানান সেলিনা।
কচকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাে. নূরুজ্জামান বলেন, ‘সকালে সেলিনা ম্যাডাম আতাউরের সঙ্গে তার বিয়ের হওয়ার দাবি করেন। তবে তার দাবি কতটা সত্য সেটা বলতে পারব না।’
অভিযুক্ত আতাউরের স্ত্রী মাসুদা পারভীন বলেন, ‘সেলিনা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছে। তার বিয়ের কােনো প্রমাণপত্র নেই। সেটা তিনি দেখাতেও পারেননি। আমার স্বামীকে হেয় করতে ও অর্থের লােভে তিনি এই কাজটি করছেন।’
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, সেলিনা পারভীন সচিব আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযােগ দিয়েছেন। তবে সেটি মামলা হিসেবে রের্কড হয়নি।
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হেয় করায় আতাউরের স্ত্রী মাসুদা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানান ওসি মাহবুব আলম।