নওগাঁয় নিয়ামতপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত খালিদ বিন মাহবুব রহমান (৪৯) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ড দিয়েছে।
পেশায় ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ হলেও তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গত একমাস ধরে এলাকায় চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
রোববার বিকেলে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের কুশমইল বেলীর মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত খালিদ বিন মাহবুব রহমানকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নীলুফা সরকার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, খালিদ বিন মাহবুব রহমানের বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেলী মোড়ের কামরুজ্জামানের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বার দিয়ে প্রায় এক মাস ধরে লোকজনকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
সেখানে নিজেকে এমবিবিএস, পিজিটি, (আপার), এমডি (মেডিসিন) ঢাকাসহ বিভিন্ন টাইটেল লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চিকিৎসক সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু আদালতের কাছে ডিগ্রি অর্জনের কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া সাইনবোর্ডে লেখা ডিগ্রির কাগজপত্রও দেখাতে ব্যর্থ হয়। তার জাতীয় পরিচয়পত্রটিও দেখাতে পারেননি। এতে তিনি ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে প্রমাণিত হন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা সরকার বলেন, খালিদ বিন মাহবুবুর রহমানেএকটি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করতেন। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে চিকিৎসক হিসাবে প্রচার করেন এবং ভুয়া চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন রোগের ওষুধের বিষয়ে ধারণা ছিল। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষকে প্রতারণা করে আসছিলেন।
প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক মাসের কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. প্রণব কুমার সাহা।
নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, ভুয়া চিকিৎসক খালিদ বিন মাহবুব রহমানকে রোববার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।