মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় রোববার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
উলিপুরের ধরনীবাড়ি ইউনিয়নে ফ্যানের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয় ১০ বছরের এক শিশুর। এ ছাড়া উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নে থ্রি-হুইলারচালক, কুলাউড়ার পৃথিমপাশায় এক যুবক এবং রাউৎগাঁও ইউনিয়নে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
কুড়িগ্রাম: উলিপুরের ফারাজী পাড়ার আমজাদ হোসেনের ১০ বছরের মেয়ে রাকাইয়া জান্নাত ফুটালী সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফ্যানের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ার খাতা ছিলাখানা গ্রামের নিজ বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করছিলেন থ্রি-হুইলারচালক রফিকুল ইসলাম। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাইদুল ইসলাম দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৌলভীবাজার: কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাসুদরানা আব্বাছ নিউজবাংলাকে জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গ্রামের রুহেল আহমেদ পল্লি বিদ্যুতের একটি খুঁটি থেকে পাখির ছানা ধরতে যায়। ওই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিচে পড়ে তার মাথা ফেটে যায়। দ্রুত কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের ১৫ বছরের জুনেদ মিয়া গিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী হাসিপুর গ্রামে একজনের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ করতে। সেখানে মোটরের তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয় জুনেদের।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় নিউজবাংলাকে জানান, মনরাজের জুনেদের বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রুহেল আহমদের বিষয়টি তার জানা নেই।