ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা শেষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিজ বাড়িতে ফেরত দুই পরিবারের পাঁচ সদস্যক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের যৌথ দল ওই দুই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, শনিবার সকালে পাঁচ বাংলাদেশি ভারতের চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী চেকপোস্ট হয়ে প্রবেশ করেন। তারা হলেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের মমিনুল ইসলাম, গজারকুটি গ্রামের বুলবুল ইসলাম, কাশিপুর ইউনিয়নের আজায়োটারি গ্রামের আবু তালেব সরকার, তার স্ত্রী মাসুদা বেগম এবং মেয়ে তানবিন আক্তার।
ওসি এদের মধ্যে মমিনুল ইসলাম কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে যান। তার সঙ্গে যান তার বন্ধু বুলবুল ইসলাম। আর আবু তালেব-মাসুদা বেগম দম্পতি তাদের মেয়ে তানবিনের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে আসেন। তাদের সকলকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয় পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তারা হাসপাতালে না গিয়ে সরাসরি ফুলবাড়ী উপজেলায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন। পরে রোববার দুপুরে লালমনিরহাট পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশকে জানায়। পরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ওই দুই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের অবশ্যই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে এই কার্যক্রম চলতে থাকবে।