খুলনা বিভাগে বিদেশ থেকে আসা ২ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এর মধ্যে যশোর জেলায় রয়েছেন ১ হাজার ১৪০ জন, খুলনায় ৫২১ জন, নড়াইল জেলায় ৯৯ জন, ঝিনাইদহে ১৬৩ জন, সাতক্ষীরায় ৩৩০ জন এবং মাগুরায় রয়েছেন ৫০ জন।
রোববার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
বিভাগীয় কমিশনার জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে আসা যাত্রীদের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা সিভিল সার্জনের সহায়তায় কোয়ারেন্টিনে থাকা নাগরিকদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন জেলার এসব কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে রোববার থেকে বিজিবি মোতায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৫৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক এসেছেন। তাদের প্রথমত যশোরের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়। পরে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
যাত্রী আনা নেয়া এবং খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। যারা করোনা পজিটিভ তাদের সংক্রমণজনিত জটিলতা নেই। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হবে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত, নতুন কোনো সংক্রমিত যাত্রীকে আনা হবে না। ২৬ এপ্রিল আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ১১ মে । এসব ব্যক্তিরা সাফল্যের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন শেষ করার সার্টিফিকেট পাবেন।
অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুভাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।