খুলনায় বিভাগীয় কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রোববার থেকে মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে আসা যাত্রীদের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা সিভিল সার্জনের সহায়তায় কোয়ারেন্টিনে থাকা নাগরিকদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন জেলার এসব কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিভাগীয় কমিশনার জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৫৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক এসেছেন। তাদের প্রথমে যশোরের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়। পরে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে তাদের খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘যাত্রী আনা-নেয়া এবং খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা সুস্থ্ আছেন। যাদের করোনা পজেটিভ, তাদের সংক্রমণজনিত জটিলতা নেই। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হবে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন কোনো সংক্রমিত যাত্রীকে এসব সেন্টারে আনা হবে না। ২৬ এপ্রিল আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ১১ মে। এসব ব্যক্তি কোয়ারেন্টিন শেষে পাবেন সার্টিফিকেট।
যশোরে ১ হাজার ১৪০ জন, খুলনায় ৫২১, নড়াইলে ৯৯, ঝিনাইদহে ১৬৩, সাতক্ষীরায় ৩৩০ এবং মাগুরাতে ৫০ জন ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রয়েছেন বলে জানান কমিশনার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুবাস চন্দ্র সাহা, খুলনা মহানগর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রাশেদা সুলতানা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা জিনাত আরা আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।