বেনাপোল দিয়ে ভারতফেরত ৫০ যাত্রীকে মাগুরা থেকে আটক করেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাগুরাতেই তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে বেনাপোল হয়ে দেশে ঢুকে ওই যাত্রীরা একটি বাস ভাড়া করে যশোর হয়ে মাগুরা যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ও প্রশাসন যশোর-মাগুরা মহাসড়কে ওই বাসটির পথরোধ করে। সেখান থেকে পুলিশি পাহারায় যাত্রীদের পাঠানো হয় কোয়ারেন্টিনে।
জেলা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ওই যাত্রীরা ভারত গিয়েছিলেন চিকিৎসার কাজে। তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে মাগুরা শহরের কাঁচাবাজারসংলগ্ন ঈগল হোটেল ও সৈকত হোটেলে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের মধ্যে দুইজন আগে থেকে অসুস্থ বলে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বাইপাস সার্জারির জন্য ভারত গিয়েছিলেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, ভারতফেরত ওই যাত্রীদের বাড়ি বিভিন্ন জেলায়। তারা এখন ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এ সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত তাদের পরীক্ষা করবেন।
কোয়ারেন্টিন থেকে এই যাত্রীদের পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, তাদের ওপর নজরদারিতে পুলিশ ও আনসার বাহিনী সার্বক্ষণিক পাহারায় আছে। যত দিন তারা সেখানে থাকবেন, তত দিনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ জানান, ‘ওই ৫০ জনের কাগজপত্র ঘেঁটে জেনেছি যে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে করোনার কারণে তারা আটকা পড়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজপত্র দেখিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন। আমরা জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মেডিক্যাল টিম করে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। তাদের কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ পাইনি।’
তিনি আরও জানান, ভারত থেকে আরও অনেকে আসতে পারেন, এমন তথ্য দিয়েছে প্রশাসন। এর ভিত্তিতে শহরের হোটেল মণ্ডল ইন্টারন্যাশনাল ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রেস্ট হাউসকেও কোয়ারেন্টিন সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে।