প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনবিভাগকে আধুনিকায়নে বনরক্ষীদের ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা করেছেন। সুন্দরবন সুরক্ষায় মেগা প্রকল্প নেয়ার পাশাপাশি বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তায় আধুনিক অস্ত্র, জলযানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারাণী বনাঞ্চল পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এসব কথা বলেন।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায় হেঁটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান। এসময় তিনি পুড়ে যাওয়া বনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
সেখান থেকে বিকেল পৌনে ৫টায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় বনে বার বার আগুন লাগার কারণ এবং তা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যাগ নেয়া হবে কী না জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমের আগেই ভারাট হওয়া ভোলা নদী খননের কাজ শুরু করা হবে। তাছাড়া ভরাট হওয়া অন্যান্য নদী-খালগুলোও খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
বনে অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে লোকালয়ের পাশ থেকে কাটাতারের বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মানের উদ্যোগটি দীর্ঘ সাত বছরেও কেন বাস্তবায়িত হয়নি জানতে চাইলে তিনি পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগী বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চান। এ ব্যাপারে ডিএফও বলেন, প্রকল্পটি গত বছর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেওয়া বনকর্মী, ফায়ার সার্ভিস, কমিউনিটি পেট্রোল দল এবং স্থানীয় জনগণকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় কমিউনিটি দলের সদস্যদের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চল পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল্লাহ, খুলনা সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসেম, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্যসহ আরও অনেকে সচিবের সঙ্গে ছিলেন।
সুন্দরবন থেকে ফিরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলার বগী-গাবতলা টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন।