ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব। এতে উপজেলায় কর্মরত সব গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন। এর আগে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভা করেন সাংবাদিকরা।
মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেনসহ সাংবাদিক নেতারা।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেন আগামীতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। আজ শনিবার তার জ্ঞান ফিরেছে। তার সঙ্গে কথা বলে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংবাদিক সেকেন্দার আলম বাড়িতে ইফতার শেষে মোটরসাইকেল যোগে পবনবেগ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পূর্বপাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ তার মুঠোফোনে একটি কল আসে। তিনি ফোনে কথা বলার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন দিক থেকে এক দল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পথচারীরা দেখতে পেয়ে তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
সেকেন্দার আলম আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক আমাদের আলফাডাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক ভোরের পাতার আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম শেখের ছেলে।