নাটোরের গুরুদাসপুরে স্মার্টফোন দিয়ে খেলতে না দেয়ায় ছয় বছরের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে।নিহত শিশুর নাম মো. মহিবুল্লাহ। শুক্রবার সকালে শিশুটির বাবার করা হত্যা মামলায় ওই কিশোরকে গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে খুলনার কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, শিশু মহিবুল্লাহ কয়েকদিন আগে তার মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি গুরুদাসপুরের ভিটাপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। মহিবুল্লাহ তার মায়ের স্মার্টফোন নিয়ে গেম খেলত। ওই কিশোর গেম খেলার জন্য বারবার মহিবুল্লাহর কাছে স্মার্টফোনটি চেয়েও পায়নি।
এছাড়া ওই কিশোর মাথা ন্যাড়া করায় তাকে উত্ত্যক্ত করতো মহিবুল্লাহর মামা ১২ বছর বয়সী আরেক কিশোর। এতে ওই কিশোর মহিবুল্লাহ ও তার মামার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এরপর থেকেই সে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সে একা পেয়ে মহিবুল্লাহকে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে ভুট্টাক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার জানান, সেখানে গিয়ে মহিবুল্লাহর হাতে থাকা স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয় ওই কিশোর। এরপর সে ছুরিকাঘাত করে মহিবুল্লাহকে হত্যা করে।