ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশের বিশেষ সাদা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুর সদর থেকে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জাকারিয়া আহমেদ প্রীতমের বাড়ি সরাইল উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চে হেফাজতের বিক্ষোভ ও হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ২৮ মার্চ বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশের বিশেষ সাদা গাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনার হোতা ছিল প্রীতম। তিনি বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে গাজীপুরে আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
গাড়ি পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রীতমকে শনাক্ত করা হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রীতম বিশ্বরোড এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।
এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা করা হয়।
এসব মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে।
প্রীতমকে সরাইল থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।