ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দোকানের বাকি পরিশোধ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দোকানি আজিজুল হক।
ঘটনাটি শুক্রবার বিকেলের হলেও ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদির মিয়া বলেন, শুক্রবার বিকেলে ওই সংঘর্ষে আহত আজিজুলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা আনার পথে রাতে তার মৃত্যু হয়।
আজিজুলের বাড়ি উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পুনাইল গ্রামে। ওই ইউনিয়নের পলাশকান্দা ভারতী বাজারে তার ভাতিজা শাহ আলমের একটি মুদি দোকান আছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবদুল জানান, শাহ আলমের দোকান থেকে দেড় বছর আগে চার হাজার টাকার জিনিসপত্র বাকিতে নেন ওই ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের সোয়াইব আহমেদ সোহেল। সেই টাকা দেড় বছর ধরে চাইলেও বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান সোহেল।
পরে চাচাতো ভাই শামছুল হক সবুজের কথায় শুক্রবার বিকেলে টাকা পরিশোধ করতে রাজি হন সোহেল। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে গেলেও সোহেল না আসায় সবুজকে টাকার জন্য চাপ দেন শাহ আলম। এ নিয়ে সবুজ ও শাহ আলমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাজারে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে আহত হন শাহ আলমের চাচা মহিউদ্দিন আজাদ মানিক ও আজিজুল।
তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে আজিজুলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পথে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।
ওসি আবদুল কাদির মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহত আজিজুলের স্ত্রী জোছনা আক্তার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮ থেকে ১০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক।